Sunday 14 October 2018

সত্য নাদেলার ১০ পরামর্শ

মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা। জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। ২০১৪ সালে শক্তহাতে বিশ্বের অন্যতম নামী প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেছেন। প্রশংসিত হয়েছে তাঁর নেতৃত্ব। একজন ভালো নেতা হতে হলে কী কী বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন? পড়ুন তাঁর দর্শন।
প্রতিনিয়ত নিজেকে বদলান
১৯৯২ সালে সত্য নাদেলা যখন মাইক্রোসফটে যোগ দেন, তখনো কেউ ‘ক্লাউড কম্পিউটিং’ (নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহার করা)–এর কথা কল্পনাও করতে পারেনি। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে নাদেলা বলেন, ‘কীভাবে ব্যবসার পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় করা যায়, যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করা যায়—এসব ছিল আগের প্রজন্মের ভাবনায়। এখন সময় বদলেছে। এখন আমরা ডেটাসেন্টার, বিগ ডেটা, স্টোরেজ নিয়ে কথা বলছি।’ সময়ের বদলের সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোসফটকেও আরও উন্নত করার ব্যাপারে সব সময় কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির এই প্রধান নির্বাহী। তিনি মনে করেন, টিকে থাকতে হলে নিজেকে বদলাতে হয়।

দলকে অনুপ্রাণিত করুন
সত্য নাদেলা বলেন, নেতৃত্বের একটা বড় শিক্ষা তিনি পেয়েছেন ছেলেবেলায় ক্রিকেট খেলার সময়। একসময় ক্রিকেটে নাদেলা ক্রমাগত খারাপ করছিলেন। এক ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে নাদেলার জায়গা দখল করে নিলেন দলের অধিনায়ক। জয়ের একদম কাছাকাছি পৌঁছে তিনি ঠিকই নাদেলাকে ব্যাট করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেদিনের কথা স্মরণ করে আজকের মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন তিনি এই কাজ করলেন, আমি কখনো জিজ্ঞেস করিনি। তবে এতটুকু জানি, সেদিন মাঠে নামতে না পারলে আমার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি ভেঙে পড়ত।’ ওই ঘটনার পরই তিনি ভালো খেলতে শুরু করেন। সত্য নাদেলা মনে করেন, খারাপ সময়েই নেতার উচিত কর্মীর পাশে দাঁড়ানো।

পরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা
২০০৮ সালে যখন সত্য নাদেলাকে মাইক্রোসফটের ‘সার্চ, পোর্টাল ও অ্যাডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম’ দলের প্রধান করা হলো, তখন অনেকেই তাঁকে অনভিজ্ঞ ভেবেছিল। অথচ তত দিনে মাইক্রোসফটের সঙ্গে তিনি ১৫ বছর পার করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমেই তিনি তাঁর এক বছরের পরিকল্পনা, লক্ষ্য লিখিতভাবে কর্মীদের জানিয়েছিলেন। সত্য নাদেলা মনে করেন, পরিকল্পনাটা স্বচ্ছভাবে কর্মীদের জানালে একসঙ্গে কাজ করতে সুবিধা হয়।

Thursday 11 October 2018

বাচ্চাকে ‘জিনিয়াস’ করতে ৮ কৌশল

কিন্তু আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনো চাপের ভেতর না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করতে চান, নীচে বর্ণিত কিছু পন্থা চেষ্টা করতে পারেন:
বিচিত্র অভিজ্ঞতায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হয়
১.শিশুকে নানা ধরণের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করুন
বুদ্ধিমান শিশুদের উদ্বুদ্ধ রাখতে, আগ্রহী রাখতে তাদেরকে অভিনব সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে হয়। জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সাহস বাড়ায়।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য, স্থবিরতা ডেকে আনে।
নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ প্রতিকুলতার সাথে শিশুর খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা বাড়ায়
২. তাদের প্রতিভা এবং আগ্রহকে উৎসাহিত করা
খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শিশুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে।
তবে 'কিছু হওয়ার জন্য' তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবেনা।
শিশুকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করুণ

Sunday 16 September 2018

সালাফী ধারার ইতিবাচক অবদান ও সালাফিজমের সমালোচনা

ইয়াসির ক্বাদী


সংজ্ঞা
সালাফী ধারার ইতিবাচক অবদান
সালাফিজমের সমালোচনা
উপসংহার
১. সংজ্ঞা
১ সালাফী ইসলাম কী?
‘সালাফিজম’ বলতে আসলে কী বুঝায়? এর সর্বসম্মত কোনো সংজ্ঞা নাই। আমার প্রস্তাব হলো– আধুনিক সালাফী ধারার একদম শুরুর দিকের রূপরেখা, তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ, সাম্প্রতিককালে এর নানান গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়া এবং ইসলাম ও বর্তমান বৈশ্বিক সমাজে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক অবদানগুলো আলোচনা সাপেক্ষে সালাফিজমকে বিশ্লেষণ করা।
আধুনিক দুনিয়ার প্রেক্ষাপটে, কিংবা আরো স্পষ্ট করে বললে, গত অর্ধশতকে ‘সালাফী’ পরিভাষাটি একটি ইসলামিক মেথডলজি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এর লক্ষ্য হলো ইসলামের প্রথম প্রজন্মের মুসলমানদের ঈমান ও আমলের যে নবুয়তী মানদণ্ড ছিলো, তার সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করা। কারণ, নবুয়তী যুগ হলো রাসূলের (সা) সুন্নাহর সর্বোৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তারপরের প্রথম তিন প্রজন্ম (সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী) মহানবীর (সা) যুগের সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলেন। এই তিন প্রজন্মের সময়কালকে ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেহেতু পরিভাষাটি দ্বারা একটি মেথডলজিকে বুঝায়, তাই এটা বলাই ন্যায়সঙ্গত– সালাফিজম দ্বারা মুসলমানদের বিশেষ বা স্বতন্ত্র কোনো গোষ্ঠী বা দলকে বুঝায় না। এক ডজনেরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ হয় নিজেদেরকে ‘সালাফী মানহাজের’ অনুসারী বলে পরিচয় দেয়, নয়তো নিজেরা পরিভাষাটি ব্যবহার না করলেও কেউ এই পরিচয়ে তাদেরকে পরিচয় দিলে তারা আপত্তি করে না। এই বাস্তবতা পরিভাষাটিকে বুঝতে আমাদেরকে আরো বেশি সহায়তা করেছে। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না – এই প্রত্যেকটি গ্রুপ নিজেদেরকেই একমাত্র সঠিক বলে মনে করে এবং অন্যান্যদেরকে সালাফিজমের সত্যিকারের প্রতিনিধি বলে মনে করে না। এই কারণে ‘সালাফিজম’ সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নানান বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সালাফী গ্রুপগুলোর ঐক্যমত ও দ্বিমতের বিষয়গুলো বুঝতে হবে।