Sunday 16 September 2018

সালাফী ধারার ইতিবাচক অবদান ও সালাফিজমের সমালোচনা

ইয়াসির ক্বাদী


সংজ্ঞা
সালাফী ধারার ইতিবাচক অবদান
সালাফিজমের সমালোচনা
উপসংহার
১. সংজ্ঞা
১ সালাফী ইসলাম কী?
‘সালাফিজম’ বলতে আসলে কী বুঝায়? এর সর্বসম্মত কোনো সংজ্ঞা নাই। আমার প্রস্তাব হলো– আধুনিক সালাফী ধারার একদম শুরুর দিকের রূপরেখা, তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ, সাম্প্রতিককালে এর নানান গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়া এবং ইসলাম ও বর্তমান বৈশ্বিক সমাজে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক অবদানগুলো আলোচনা সাপেক্ষে সালাফিজমকে বিশ্লেষণ করা।
আধুনিক দুনিয়ার প্রেক্ষাপটে, কিংবা আরো স্পষ্ট করে বললে, গত অর্ধশতকে ‘সালাফী’ পরিভাষাটি একটি ইসলামিক মেথডলজি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এর লক্ষ্য হলো ইসলামের প্রথম প্রজন্মের মুসলমানদের ঈমান ও আমলের যে নবুয়তী মানদণ্ড ছিলো, তার সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করা। কারণ, নবুয়তী যুগ হলো রাসূলের (সা) সুন্নাহর সর্বোৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। তারপরের প্রথম তিন প্রজন্ম (সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী) মহানবীর (সা) যুগের সবচেয়ে কাছাকাছি ছিলেন। এই তিন প্রজন্মের সময়কালকে ইসলামের প্রকৃত রূপরেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যেহেতু পরিভাষাটি দ্বারা একটি মেথডলজিকে বুঝায়, তাই এটা বলাই ন্যায়সঙ্গত– সালাফিজম দ্বারা মুসলমানদের বিশেষ বা স্বতন্ত্র কোনো গোষ্ঠী বা দলকে বুঝায় না। এক ডজনেরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ হয় নিজেদেরকে ‘সালাফী মানহাজের’ অনুসারী বলে পরিচয় দেয়, নয়তো নিজেরা পরিভাষাটি ব্যবহার না করলেও কেউ এই পরিচয়ে তাদেরকে পরিচয় দিলে তারা আপত্তি করে না। এই বাস্তবতা পরিভাষাটিকে বুঝতে আমাদেরকে আরো বেশি সহায়তা করেছে। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না – এই প্রত্যেকটি গ্রুপ নিজেদেরকেই একমাত্র সঠিক বলে মনে করে এবং অন্যান্যদেরকে সালাফিজমের সত্যিকারের প্রতিনিধি বলে মনে করে না। এই কারণে ‘সালাফিজম’ সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা পেতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নানান বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সালাফী গ্রুপগুলোর ঐক্যমত ও দ্বিমতের বিষয়গুলো বুঝতে হবে।