Monday, 19 September 2022
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
রিভিউ -২ রাহে বেলায়াত বই পার্ট-১ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ১.বইয়ের ভূমিকায় উনি লিখেছেন, ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি। শির্ক, কুফর, বিশ্বাসের দুর্বলতা, হিংসা, অহংকার, আত্মমুখিতা, কৃপণতা, নিষ্ঠুরতা, লোভ, ক্রোধ, প্রদর্শনেচ্ছা, জগতমুখিতা ইত্যাদি ব্যাধি থেকে মানুষের আত্মাকে পবিত্র করে বিশ্বাস এর গভীরতা, আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি গভীর প্রেম, সকল মানুষের প্রতি ভালোবাসা, আখিরাতমুখিতা,বিনয়,উদারতা,দানশীলতা,দয়াদ্রতা, সদাচরণ ইত্যাদি পবিত্র গুণাবলী অর্জন করে আল্লাহর বেলায়াত ও বন্ধুত্ব অর্জন করায় মুমিনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। এই বইয়ে মূল আলোচনার বিষয় হল আল্লাহর বন্ধুত্ব লাভের উপায় সমূহ বা পথ। ২.বেলায়াতের রাস্তা হলো সকল ফরজ কাজ আদায় এবং বেশি বেশি নফল ইবাদত করা। ফরজ ইবাদতের ব্যাপারে মোজাদ্দেদ আলফেসানী বলেছেন, একটি ফরজ ইবাদত যদি তাহার সময়মতো সম্পাদিত হয়, তবে সহস্র বৎসরের উক্তরূপ নফল ইবাদত হইতে তাহা শ্রেষ্ঠতর। ৩.এই বইয়ে আল্লাহর বন্ধুত্ব লাভের সকল কর্মকে,তথা মুমিন জীবনের সকল কর্মের গুরুত্ব ও পর্যায় দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রথম -বিশুদ্ধ ঈমান দ্বিতীয়- বৈধ উপার্জন তৃতীয়- বান্দার হক সংশ্লিষ্ট হারাম বর্জন চতুর্থ- আল্লাহর অন্যান্য আদেশ-নিষেধ বিষয়ক হারাম বর্জন পঞ্চম- ফরজ কর্মগুলো পালন ষষ্ঠ- মাকরূহ তাহরীমী বর্জন ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদা কর্ম পালন সপ্তম -মানুষ ও সৃষ্টির সেবা ও কল্যাণমূলক সুন্নত নফল ইবাদত পালন অষ্টম -ব্যক্তিগত সুন্নত নফল ইবাদত পালন এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, আমাদের সমাজের ধার্মিক মানুষেরা প্রায়শই অষ্টম পর্যায়ের কাজ গুলোকে অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব দেন, অথচ বাকি বিষয়গুলোর প্রকৃত গুরুত্ব আলোচনা বা অনুধাবনে ব্যর্থ হন। আল্লাহ রব্বুল আলামীন ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কর্মের যতটুকু গুরুত্ব প্রদান করেছেন তাকে তার চেয়ে কম গুরুত্ব প্রদান করা যেমন কঠিন অপরাধ ও তাদের শিক্ষার বিরোধিতা, তেমনি বেশি গুরুত্ব প্রদান করা ও একই প্রকার অপরাধ। উদাহরণ হিসেবে বলেছেন,আমরা পাগড়ি-টুপি,জিকির, দস্তরখান ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন কিন্তু ঈমান,বান্দার হক, হালাল উপার্জন, মানব সেবা সম্পর্কে উদাসীন। কেউ হয়তো গীবত, অহংকার, বান্দার হক নষ্ট, হারাম উপার্জন ইত্যাদিতে লিপ্ত,কিন্তু টুপি-পাগড়ি তাহাজ্জুদ ইত্যাদি অষ্টম পর্যায়ের ইবাদতে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
রিভিউ -৩ রাহে বেলায়াত বই পার্ট-২ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। আগের পার্টে যে তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি,এই পার্ট পড়ার আগে ঐ পয়েন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করছি। ৪.তাযকিয়া হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মূল মিশন এর একটি অংশ। তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি হলো সফলতার মূল। ইমাম তাবারি তার ব্যাখ্যায় বলেন তাযকিয়া শব্দটি যাকাত থেকে গৃহীত,আর যাকাত অর্থ পবিত্রতা ও বৃদ্ধি। আয়াতে তাযকিয়া অর্থ পবিত্রতা ও বৃদ্ধি বোঝানো হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনগণকে শির্ক ও গাইরুল্লাহর ইবাদত থেকে পবিত্র করেন এবং আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এটাই তাজকিয়ার মূল অর্থ। দীনের সকল কর্মই তাযকিয়ার অন্তর্ভুক্ত এরপর ও মানসিক বিষয়গুলোর প্রতি কোরআন-হাদীসে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জেনে রাখ দেহের মধ্যে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে যদি সংশোধিত হয় তবে পুরো দেহ সংশোধিত হয় আর যদি তা নষ্ট হয় তবে পুরো দেহই নষ্ট হয় তা হলো কলব। ৫.তাযকিয়ার ক্ষেত্রে বর্জনীয় -শিরক, কুফর, আত্মপ্রেম, কুরআন সুন্নাহ এর বিপরীতে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব প্রদান, হিংসা, অহংকার, লোভ, রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা, নিষ্ঠুরতা ইত্যাদি থেকে হৃদয়কে মুক্ত ও অপবিত্র করা। করণীয় -মনকে ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা, আল্লাহ ভীতি, আল্লাহর রহমতের আশা, আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্টি, নির্লোভতা, সকলের প্রতি ভালোবাসা, কল্যাণ কামনা ইত্যাদি বিষয় দিয়ে পরিপূর্ণ করা। ৬.বেলায়েতের পথে জিকিরের সাথে অধ্যায়টিতে বেলায়েতের মৌলিক কাজ গুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। প্রথম -বিশুদ্ধ ঈমান, এখানে তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ, তাওহীদুল ইবাদাত,রিসালাতের প্রতি ঈমান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন এ বিষয়ে সচেতনতা ছাড়া সকল ইবাদতই অর্থহীন। দ্বিতীয় -ফরজ ও নফল ইবাদত পালন,এখানে বলেছেন ফরয ইলম, আকিদা, সালাত, যাকাত, সিয়াম হজ্জ,হালাল উপার্জন, সাংসারিক দায়িত্ব, পিতা-মাতা-সন্তান স্ত্রীর দায়িত্ব,সামাজিক দায়িত্ব, সৎকাজে আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ, ইত্যাদি সকল ফরজ ইবাদত পালন না করে নফল ইবাদত পালন বিশেষ কোনো উপকারে লাগবে না। এখানে ইবাদত কবুলের কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করেছেন বিশুদ্ধ ঈমান, ইবাদতটি একমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুযায়ী হতে হবে,হালাল জীবিকা নির্ভর হতে হবে। তৃতীয় -ফরজ ও নফলের পালনের ক্ষেত্রে বর্জনীয় কাজ করণীয় কাজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
রিভিউ -৪ রাহে বেলায়াত বই পার্ট-৩ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। আগের দুটি পার্টে যে ছয়টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি,এই পার্ট পড়ার আগে ঐ পয়েন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করছি। ৭.কবিরা গুনাহ বর্জন নিয়ে কথা বলেছেন,কোরআন হাদিসের আলোকে কোনগুলো কবিরা গুনাহ সেগুলো উল্লেখ করেছেন। হক্কুল্লাহ ও হক্কুল ইবাদ বিষয়ক কয়েকটি কবিরা গুনাহ উল্লেখ করছি। -ঈমান বিষয়ক: শিরক, কুফর, নিফাক, বিদআত, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া, তাকদিরে অবিশ্বাস করা, নিজের জীবন সম্পদ ও সকল মানুষের চেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বেশি ভালো না বাসা ইত্যাদি। -ফরয ইবাদত পরিত্যাগ বিষয়ক:সালাত পরিত্যাগ,যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকা,সিয়াম পালনে অবহেলা,সামর্থ্য থাকা সত্বেও হজ না করা ইত্যাদি। -হারাম খাদ্য ভক্ষণ বিষয়ক -অন্তর বিষয়ক :অহংকার, হিংসা, রিয়া ইত্যাদি। -পবিত্রতা ও অভ্যাস বিষয়ক:পেশাব থেকে পবিত্র না হওয়া, মিথ্যা কথা বলা,দাড়ি না রাখা,টাখনুর নিচে পোশাক ঝুলে পড়া ইত্যাদি। হক্কুল ইবাদ বিষয়ক কিছু কবিরা গুনাহ -রাষ্ট্রপ্রধান,প্রশাসক বা বিচারক কতৃক জনগণের দায়িত্ব, সম্পদ বা আমানত আদায়ে অবহেলা করা। -রাষ্ট্র প্রশাসনের অন্যায় জুলুম সমর্থন বা সহযোগিতা করা -অন্যায় দেখেও সাধ্যমত প্রতিকার বা প্রতিবাদ না করা -মুনাফিককে নেতা বলা -রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ বা ভোগ করা -মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিম নাগরিকের কষ্ট প্রদান ও বাঁচার অধিকার নষ্ট করা -কর্কশ ব্যবহার ও অশ্লীল অশ্রাব্য কথা বলা -পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া বা তাদের কষ্ট প্রদান করা -ঘুষ গ্রহণ করা, প্রদান করা ও ঘুষের আদান-প্রদানের মধ্যস্থতা করা -গীবত ও পরিচর্যা করা -সমাজে অশ্লীলতা প্রসার করতে পারে এমন বিষয়ক প্রচার বিক্রয় আদান-প্রদান সবই কবিরা গুনাহ। মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। ৮.আল্লাহর পথের পথিক দের পাপ: এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, শয়তানের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য তার নিজস্ব পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির রয়েছে। সবাইকে সে ধর্মহীন অবিশ্বাসী করতে চায়। যাদের ক্ষেত্রে পারে না তাদের জন্য ধর্মের আবরণে পাপের মধ্যে লিপ্ত করে অথচ সেগুলো কে অনুধাবন করা অনেক সময় ধার্মিক মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। এই সংক্রান্ত কিছু পাপ উল্লেখ করেছেন। ধার্মিক মানুষদের ধ্বংস করতে শয়তানের মূল অস্ত্র পাঁচটি শিরক, কুফর, বিদআত,হিংসা বিদ্বেষ ও বান্দার হক নষ্ট করা। সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক- কুফর -অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা -মূর্তিতে ভক্তিভরে ফুলদান, মূর্তির সামনে নীরবে ভক্তিভরে দাঁড়ানো ইত্যাদি এজাতীয় শিরকতুল্য কর্ম। -আল্লাহর কোনো বিধান বর্তমানে অচল বা মধ্যযুগীয় মনে করা -ইসলামকে শুধু ব্যক্তিজীবনে পালন করতে হবে এবং সমাজ,বিচার, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইসলাম চলবে না বলে মনে করা -কুফরীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা ও কুফরী। অন্যান্য ধর্মের শিরক মূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা -ইসলাম জানতে ও বুঝতে আগ্রহ না থাকা মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। বিদআত রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম ও তার সাহাবীগণ দীন বা ইবাদত হিসেবে পালন করেননি তাকে দীন, ইবাদত সওয়াবের কর্ম বলে মনে করা বিদআত। বিদআত একান্তই ধার্মিকদের পাপ। তাওহীদের বিশ্বাসের ঘাটতি থেকে যেমন শিরকের উৎপত্তি এবং রিসালাতের বিশ্বাসের ঘাটতি থেকে বিদআতের উৎপত্তি। পাপ যতই ভয়ঙ্কর হোক মুমিন সাধারণত এগুলো থেকে তওবা করতে পারেন কিন্তু বিদ'আত থেকে তাওবা করা খুবই কঠিন কারণ বিদআত পালনকারী এটাকে নেক আমল মনে করে পালন করেন। এর পরের পর্বে আরো কয়েকটি বড় বড় গোনাহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ। বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
১লা আগস্ট ২০২২,চলমান বুক রিভিউয়ে আজকে আল্লাহ আমাকে যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
রিভিউ -৫
রাহে বেলায়াত বই পার্ট-৪
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। আগের চারটি পার্টে যে আটটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি,এই পার্ট পড়ার আগে ঐ পয়েন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করছি।
আল্লাহর পথে পথিকদের পাপগুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম। গত পার্টে কুফর এবং বিদআত নিয়ে বই থেকে কিছু বিষয় তুলে ধরেছিলাম, আজকে কিবর বা অহংকার নিয়ে একটু বিস্তারিত বই থেকে তুলে ধরতে চাই।
৯. কিবর বা অহংকার:
নিজেকে অন্য কোন মানুষ থেকে উত্তম বা বড় মনে করা,কাউকে কোন ভাবে হেয় করা হল অহংকার।
মানুষ আল্লাহর নেয়ামত নিয়েই অহংকারে লিপ্ত হয়।অহংকার আমাদের নেক কর্ম বিনষ্ট করে দেয় এবং যার মধ্যে অণু পরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
আপনার জ্ঞান, সম্পদ, সৌন্দর্য,প্রভাব, শক্তি, বাকপটুতা, ডিগ্রী, পদমর্যাদা আরেকজন থেকে বেশি, এটা যদি নিজস্ব অর্জন মনে করেন তখনই অহংকার এর শুরু হয়।
অহংকার সকল ক্ষেত্রেই ধ্বংসাত্মক অনুভূতি, তা যদি হয় ইবাদত কেন্দ্রিক তাহলে তো আরো বেশি ক্ষতিকারক। নিজেকে ভালো দ্বীনদার মনে করা শয়তানের অন্যতম চক্রান্ত।
-অহংকার এর উদাহরণ দিয়েছেন, সাধারণ কোনো পোশাক পরে বেরোতে যদি আপনার লজ্জা বোধ হয় এবং এ অবস্থায় কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আপনাকে দেখে ফেলেন, তাতে যদি সংকোচ বোধ হয় তাহলে বুঝতে হবে মনের মধ্যে অহংকার বিদ্যমান।
-কোন মজলিসের পিছনে বসলে যদি আপনার খারাপ লাগে,কেউ আপনাকে দেখে সম্মান করুক বা আগে সালাম দিক মনে হয় তাহলে আপনার অন্তর অহংকার আছে।
অহংকার থেকে বাঁচার জন্য দুনিয়াবী সকল যোগ্যতা, ইবাদত পালনের সক্ষমতাকে আল্লাহর একান্ত দয়া রহমত হিসেবে তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করা এবং নেয়ামতের স্থায়িত্বের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা ।
সাহাবী, তাবেয়ীগণ বা পূর্ববর্তী যুগের শ্রেষ্ঠতম বুজুর্গ নেককার মানুষেরা নিজেদেরকে জীব জানোয়ারের চেয়েও উত্তম ভাবতে পারতেন না।
১০.হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা :
মানব হৃদয়ের নোংরা ও ক্ষতিকারক কর্ম বিদ্বেষ, ঘৃণা অমঙ্গল কামনা, পারস্পরিক শত্রুতা ইত্যাদি। অন্তরকে কলুষিত করে, ভারাক্রান্ত করে এবং আল্লাহর যিকির থেকে দূরে সরিয়ে দেয় সর্বোপরি নেক আমল নষ্ট করে দেয়।
আমরা ধার্মিক মানুষেরা অনেক সময় নফল, ইখতালাফি বিষয় এবং মনগড়া কিছু আকিদাকে ঈমানের মানদন্ড বলে ফেলি এবং এগুলো নিয়ে ঘৃণা ছড়ায়।
ঘৃণার সাথে ভালোবাসা জড়িত থাকে, মুমিনের পাপের দিকে নয় বরং তার ঈমানের দিকে আগে দৃষ্টি দিতে হবে। পাপের প্রতি ঘৃণার পাশাপাশি দরদ ভরা মন নিয়ে তার জন্য দোয়া করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া পাপ বা পাপীর চিন্তায় নিজের হৃদয় কে ব্যস্ত রাখা খুবই অন্যায়।
সাধ্যমত সর্বদা নিজের দ্বীনী বা দুনিয়াবী প্রয়োজন এবং আল্লাহর জিকির এবং নিজের পাপের চিন্তায় নিজেকে রত রাখুন ।
১১.সৃষ্টির অধিকার নষ্ট করা :
আমরা বেদনার সাথে লক্ষ্য করি যে ধার্মিক মানুষদের মধ্যে অনেকেই অন্যের অধিকার নষ্ট করার কঠিন পাপে লিপ্ত থাকেন। হয়তো তাহাজ্জুদ, জিকির, নফল সিয়াম, দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও প্রচারে রত রয়েছেন কিন্তু স্ত্রী-সন্তান,প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, কর্মস্থল, সেবাগ্রহণে আগত ব্যক্তি, কর্মদাতা, অন্য অনেকের অধিকার নষ্ট করে। এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এর পরের পর্বে আরো কয়েকটি বড় বড় গোনাহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান
শয়তানের কার্যক্রম
শয়তানের উপর কোরআনের আয়াত ও হাদিস