রিভিউ -৪ রাহে বেলায়াত বই পার্ট-৩ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। আগের দুটি পার্টে যে ছয়টি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি,এই পার্ট পড়ার আগে ঐ পয়েন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করছি। ৭.কবিরা গুনাহ বর্জন নিয়ে কথা বলেছেন,কোরআন হাদিসের আলোকে কোনগুলো কবিরা গুনাহ সেগুলো উল্লেখ করেছেন। হক্কুল্লাহ ও হক্কুল ইবাদ বিষয়ক কয়েকটি কবিরা গুনাহ উল্লেখ করছি। -ঈমান বিষয়ক: শিরক, কুফর, নিফাক, বিদআত, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া, তাকদিরে অবিশ্বাস করা, নিজের জীবন সম্পদ ও সকল মানুষের চেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বেশি ভালো না বাসা ইত্যাদি। -ফরয ইবাদত পরিত্যাগ বিষয়ক:সালাত পরিত্যাগ,যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকা,সিয়াম পালনে অবহেলা,সামর্থ্য থাকা সত্বেও হজ না করা ইত্যাদি। -হারাম খাদ্য ভক্ষণ বিষয়ক -অন্তর বিষয়ক :অহংকার, হিংসা, রিয়া ইত্যাদি। -পবিত্রতা ও অভ্যাস বিষয়ক:পেশাব থেকে পবিত্র না হওয়া, মিথ্যা কথা বলা,দাড়ি না রাখা,টাখনুর নিচে পোশাক ঝুলে পড়া ইত্যাদি। হক্কুল ইবাদ বিষয়ক কিছু কবিরা গুনাহ -রাষ্ট্রপ্রধান,প্রশাসক বা বিচারক কতৃক জনগণের দায়িত্ব, সম্পদ বা আমানত আদায়ে অবহেলা করা। -রাষ্ট্র প্রশাসনের অন্যায় জুলুম সমর্থন বা সহযোগিতা করা -অন্যায় দেখেও সাধ্যমত প্রতিকার বা প্রতিবাদ না করা -মুনাফিককে নেতা বলা -রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধভাবে ভক্ষণ বা ভোগ করা -মুসলিম সমাজে বসবাসরত অমুসলিম নাগরিকের কষ্ট প্রদান ও বাঁচার অধিকার নষ্ট করা -কর্কশ ব্যবহার ও অশ্লীল অশ্রাব্য কথা বলা -পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া বা তাদের কষ্ট প্রদান করা -ঘুষ গ্রহণ করা, প্রদান করা ও ঘুষের আদান-প্রদানের মধ্যস্থতা করা -গীবত ও পরিচর্যা করা -সমাজে অশ্লীলতা প্রসার করতে পারে এমন বিষয়ক প্রচার বিক্রয় আদান-প্রদান সবই কবিরা গুনাহ। মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। ৮.আল্লাহর পথের পথিক দের পাপ: এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, শয়তানের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য তার নিজস্ব পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির রয়েছে। সবাইকে সে ধর্মহীন অবিশ্বাসী করতে চায়। যাদের ক্ষেত্রে পারে না তাদের জন্য ধর্মের আবরণে পাপের মধ্যে লিপ্ত করে অথচ সেগুলো কে অনুধাবন করা অনেক সময় ধার্মিক মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। এই সংক্রান্ত কিছু পাপ উল্লেখ করেছেন। ধার্মিক মানুষদের ধ্বংস করতে শয়তানের মূল অস্ত্র পাঁচটি শিরক, কুফর, বিদআত,হিংসা বিদ্বেষ ও বান্দার হক নষ্ট করা। সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক- কুফর -অশুভ বা অযাত্রা বিশ্বাস করা -মূর্তিতে ভক্তিভরে ফুলদান, মূর্তির সামনে নীরবে ভক্তিভরে দাঁড়ানো ইত্যাদি এজাতীয় শিরকতুল্য কর্ম। -আল্লাহর কোনো বিধান বর্তমানে অচল বা মধ্যযুগীয় মনে করা -ইসলামকে শুধু ব্যক্তিজীবনে পালন করতে হবে এবং সমাজ,বিচার, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইসলাম চলবে না বলে মনে করা -কুফরীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা ও কুফরী। অন্যান্য ধর্মের শিরক মূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা -ইসলাম জানতে ও বুঝতে আগ্রহ না থাকা মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করলাম। বিদআত রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম ও তার সাহাবীগণ দীন বা ইবাদত হিসেবে পালন করেননি তাকে দীন, ইবাদত সওয়াবের কর্ম বলে মনে করা বিদআত। বিদআত একান্তই ধার্মিকদের পাপ। তাওহীদের বিশ্বাসের ঘাটতি থেকে যেমন শিরকের উৎপত্তি এবং রিসালাতের বিশ্বাসের ঘাটতি থেকে বিদআতের উৎপত্তি। পাপ যতই ভয়ঙ্কর হোক মুমিন সাধারণত এগুলো থেকে তওবা করতে পারেন কিন্তু বিদ'আত থেকে তাওবা করা খুবই কঠিন কারণ বিদআত পালনকারী এটাকে নেক আমল মনে করে পালন করেন। এর পরের পর্বে আরো কয়েকটি বড় বড় গোনাহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ। বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ
No comments:
Post a Comment