Monday, 19 September 2022

ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কর্ম ও অবদান

১লা আগস্ট ২০২২,চলমান বুক রিভিউয়ে আজকে আল্লাহ আমাকে যতটুকু সামর্থ্য দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। রিভিউ -৫ রাহে বেলায়াত বই পার্ট-৪ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। আগের চারটি পার্টে যে আটটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি,এই পার্ট পড়ার আগে ঐ পয়েন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করছি। আল্লাহর পথে পথিকদের পাপগুলো নিয়ে আলোচনা করছিলাম। গত পার্টে কুফর এবং বিদআত নিয়ে বই থেকে কিছু বিষয় তুলে ধরেছিলাম, আজকে কিবর বা অহংকার নিয়ে একটু বিস্তারিত বই থেকে তুলে ধরতে চাই। ৯. কিবর বা অহংকার: নিজেকে অন্য কোন মানুষ থেকে উত্তম বা বড় মনে করা,কাউকে কোন ভাবে হেয় করা হল অহংকার। মানুষ আল্লাহর নেয়ামত নিয়েই অহংকারে লিপ্ত হয়।অহংকার আমাদের নেক কর্ম বিনষ্ট করে দেয় এবং যার মধ্যে অণু পরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আপনার জ্ঞান, সম্পদ, সৌন্দর্য,প্রভাব, শক্তি, বাকপটুতা, ডিগ্রী, পদমর্যাদা আরেকজন থেকে বেশি, এটা যদি নিজস্ব অর্জন মনে করেন তখনই অহংকার এর শুরু হয়। অহংকার সকল ক্ষেত্রেই ধ্বংসাত্মক অনুভূতি, তা যদি হয় ইবাদত কেন্দ্রিক তাহলে তো আরো বেশি ক্ষতিকারক। নিজেকে ভালো দ্বীনদার মনে করা শয়তানের অন্যতম চক্রান্ত। -অহংকার এর উদাহরণ দিয়েছেন, সাধারণ কোনো পোশাক পরে বেরোতে যদি আপনার লজ্জা বোধ হয় এবং এ অবস্থায় কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আপনাকে দেখে ফেলেন, তাতে যদি সংকোচ বোধ হয় তাহলে বুঝতে হবে মনের মধ্যে অহংকার বিদ্যমান। -কোন মজলিসের পিছনে বসলে যদি আপনার খারাপ লাগে,কেউ আপনাকে দেখে সম্মান করুক বা আগে সালাম দিক মনে হয় তাহলে আপনার অন্তর অহংকার আছে। অহংকার থেকে বাঁচার জন্য দুনিয়াবী সকল যোগ্যতা, ইবাদত পালনের সক্ষমতাকে আল্লাহর একান্ত দয়া রহমত হিসেবে তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করা এবং নেয়ামতের স্থায়িত্বের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা । সাহাবী, তাবেয়ীগণ বা পূর্ববর্তী যুগের শ্রেষ্ঠতম বুজুর্গ নেককার মানুষেরা নিজেদেরকে জীব জানোয়ারের চেয়েও উত্তম ভাবতে পারতেন না। ১০.হিংসা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা : মানব হৃদয়ের নোংরা ও ক্ষতিকারক কর্ম বিদ্বেষ, ঘৃণা অমঙ্গল কামনা, পারস্পরিক শত্রুতা ইত্যাদি। অন্তরকে কলুষিত করে, ভারাক্রান্ত করে এবং আল্লাহর যিকির থেকে দূরে সরিয়ে দেয় সর্বোপরি নেক আমল নষ্ট করে দেয়। আমরা ধার্মিক মানুষেরা অনেক সময় নফল, ইখতালাফি বিষয় এবং মনগড়া কিছু আকিদাকে ঈমানের মানদন্ড বলে ফেলি এবং এগুলো নিয়ে ঘৃণা ছড়ায়। ঘৃণার সাথে ভালোবাসা জড়িত থাকে, মুমিনের পাপের দিকে নয় বরং তার ঈমানের দিকে আগে দৃষ্টি দিতে হবে। পাপের প্রতি ঘৃণার পাশাপাশি দরদ ভরা মন নিয়ে তার জন্য দোয়া করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া পাপ বা পাপীর চিন্তায় নিজের হৃদয় কে ব্যস্ত রাখা খুবই অন্যায়। সাধ্যমত সর্বদা নিজের দ্বীনী বা দুনিয়াবী প্রয়োজন এবং আল্লাহর জিকির এবং নিজের পাপের চিন্তায় নিজেকে রত রাখুন । ১১.সৃষ্টির অধিকার নষ্ট করা : আমরা বেদনার সাথে লক্ষ্য করি যে ধার্মিক মানুষদের মধ্যে অনেকেই অন্যের অধিকার নষ্ট করার কঠিন পাপে লিপ্ত থাকেন। হয়তো তাহাজ্জুদ, জিকির, নফল সিয়াম, দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও প্রচারে রত রয়েছেন কিন্তু স্ত্রী-সন্তান,প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, কর্মস্থল, সেবাগ্রহণে আগত ব্যক্তি, কর্মদাতা, অন্য অনেকের অধিকার নষ্ট করে। এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এর পরের পর্বে আরো কয়েকটি বড় বড় গোনাহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ। বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ

No comments:

Post a Comment