রিভিউ -৩ রাহে বেলায়াত বই পার্ট-২ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের rokomari.com এ বিক্রিত বই গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বই হল রাহে বেলায়াত। আমি এই বইয়ে আলোচিত মৌলিক বিষয়গুলোর ছোট্ট একটি সামারি দেওয়ার চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ। আগের পার্টে যে তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছি,এই পার্ট পড়ার আগে ঐ পয়েন্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করছি। ৪.তাযকিয়া হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মূল মিশন এর একটি অংশ। তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি হলো সফলতার মূল। ইমাম তাবারি তার ব্যাখ্যায় বলেন তাযকিয়া শব্দটি যাকাত থেকে গৃহীত,আর যাকাত অর্থ পবিত্রতা ও বৃদ্ধি। আয়াতে তাযকিয়া অর্থ পবিত্রতা ও বৃদ্ধি বোঝানো হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিনগণকে শির্ক ও গাইরুল্লাহর ইবাদত থেকে পবিত্র করেন এবং আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এটাই তাজকিয়ার মূল অর্থ। দীনের সকল কর্মই তাযকিয়ার অন্তর্ভুক্ত এরপর ও মানসিক বিষয়গুলোর প্রতি কোরআন-হাদীসে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জেনে রাখ দেহের মধ্যে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে যদি সংশোধিত হয় তবে পুরো দেহ সংশোধিত হয় আর যদি তা নষ্ট হয় তবে পুরো দেহই নষ্ট হয় তা হলো কলব। ৫.তাযকিয়ার ক্ষেত্রে বর্জনীয় -শিরক, কুফর, আত্মপ্রেম, কুরআন সুন্নাহ এর বিপরীতে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব প্রদান, হিংসা, অহংকার, লোভ, রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা, নিষ্ঠুরতা ইত্যাদি থেকে হৃদয়কে মুক্ত ও অপবিত্র করা। করণীয় -মনকে ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা, আল্লাহ ভীতি, আল্লাহর রহমতের আশা, আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্টি, নির্লোভতা, সকলের প্রতি ভালোবাসা, কল্যাণ কামনা ইত্যাদি বিষয় দিয়ে পরিপূর্ণ করা। ৬.বেলায়েতের পথে জিকিরের সাথে অধ্যায়টিতে বেলায়েতের মৌলিক কাজ গুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। প্রথম -বিশুদ্ধ ঈমান, এখানে তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ, তাওহীদুল ইবাদাত,রিসালাতের প্রতি ঈমান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন এ বিষয়ে সচেতনতা ছাড়া সকল ইবাদতই অর্থহীন। দ্বিতীয় -ফরজ ও নফল ইবাদত পালন,এখানে বলেছেন ফরয ইলম, আকিদা, সালাত, যাকাত, সিয়াম হজ্জ,হালাল উপার্জন, সাংসারিক দায়িত্ব, পিতা-মাতা-সন্তান স্ত্রীর দায়িত্ব,সামাজিক দায়িত্ব, সৎকাজে আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ, ইত্যাদি সকল ফরজ ইবাদত পালন না করে নফল ইবাদত পালন বিশেষ কোনো উপকারে লাগবে না। এখানে ইবাদত কবুলের কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করেছেন বিশুদ্ধ ঈমান, ইবাদতটি একমাত্র আল্লাহর জন্য হতে হবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুযায়ী হতে হবে,হালাল জীবিকা নির্ভর হতে হবে। তৃতীয় -ফরজ ও নফলের পালনের ক্ষেত্রে বর্জনীয় কাজ করণীয় কাজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ দ্রষ্টব্য :সবগুলো বিষয়েই রেফারেন্স আছে আমি আসলে যেহেতু সামারি তৈরি করছি সে ক্ষেত্রে আমি রেফারেন্স টা দিলে আমার লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে এজন্য আমি রেফারেন্সগুলো এভোয়েড করছি, আপনারা বিস্তারিত চাইলে বইটি পড়তে পারেন,লিংক দিয়ে দিচ্ছি । চলবে---- ইনশাআল্লাহ
No comments:
Post a Comment